আকাশ রহমান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ শজ রব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে।এরই ধারাহিকতায় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে। আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে ১৪ অক্টোবর মহানবমীর পুজা অর্চনা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি মন্দিরে পুজা অর্চনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভক্ত বৃন্দরা।কাশফোটা ও শিউলি শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গা পূজা। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে মহানবমীর দিনে ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দূর্গাপূজাকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক আনন্দ উৎযাপন করছেন বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরাঘুরি করে ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি টি দূর্গা মন্ডবে চলছে মা দেবীর মহানবমী পূজা অর্চনা ।
ঢোলারহাট শ্রী শ্রী সার্বজনিন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি প্রফুল্ল কুমার বর্মন বলেন, প্রতি বছরই আমরা দূর্গোৎসব পালন করি। দেবী দূর্গা আগমন হবে ঘোড়াই আর প্রস্হান হবে দোলায় চড়ে। আমরা উৎসবমূখর পরিবেশেই ধর্মীয় উৎসব পালন করি এ ক্ষেত্রে প্রসাসন আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করে থাকে আজকে আমরা মহানবমী পূজা অর্চনা করছি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট অতুল প্রসাদ রায় বলেন, প্রতি বছর ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সর্বজনীন দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২শত ০৩টি মন্দিরে পুজা অর্চনা চলছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, এবছর ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ৪৬৫ টি দূর্গা মন্ডপ এ পূজা উৎযাপন চলছে ।
এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ২০৩ টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৬৫ টি, হরিপুর উপজেলায় ২৫ টি,পীরগঞ্জ উপজেলায় ১১৮ টি এবং রানীশংকৈল উপজেলায় ৫৪ টি।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে এবছরও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় পূজা উৎযাপন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি টি মন্দিরে আলো থাকছে কিন্তু আলোকসজ্জা করা হচ্ছে না, আরতি অর্চনা করা হচ্ছে কিন্তু আরতি প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে না। নিরাপত্তার বিষয় তিনি বলেন, আমরা পূজা উৎযাপন পরিষদ কমিটির নেতৃবৃন্দ মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করছি। যদিও কোথায় সমস্যা দেখা দেয় তৎক্ষনাৎ আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবগত করব।তবে আশা করি আমাদের এলাকা শান্তি প্রিয় মানুষ এখানে কোন প্রকার অপ্রিয়কর ঘটনা ঘটবে না।
সনাতন ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গোৎসব
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।